ইদানীং বাচ্চাদের কাশি নিয়ে অনেক মা আমাদের কাছে আসছেন। বেশিরভাগ মা তার বাচ্চাকে কোনো না কোনো কাশির সিরাপ খাওয়াচ্ছেন।
শিশুদের শ্বাসতন্ত্র খুব নাজুক এবং অতিসংবেদনশীল। তাই গরমে ঘেমে কিংবা একটুখানি হিমেল হাওয়ায়, এসি বা ফ্যানের বাতাসে অথবা আবহাওয়া পরিবর্তনে তাদের চট করেই সর্দি-কাশি হয়ে যায়। বেশিরভাগ সময় এ কাশিতে অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই পাড়ার বা মোড়ের দোকান থেকে কিনে নেন কাশির ওষুধ। আর দিনে দুয়েকবার দু-তিন চামচ অথবা ইচ্ছামতো বিভিন্ন মাত্রায় এ ওষুধ খাওয়াতে থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এতে কি শিশুর ক্ষতি হতে পারে? হ্যাঁ, হতেই পারে। আশঙ্কা রয়েছে বিস্তর। কারণ সব কাশিই এক নয়। কাশির রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ধরন ও ভিন্ন ভিন্ন কারণ। আর সে জন্য অবশ্যই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ওষুধ। সাধারণ ঠা-া-কাশি যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে নিউমোনিয়ার মতো ভয়ঙ্কর ফুসফুসের ইনফেকশন। যে কোনো ওষুধের মাত্রা বয়স ও ওজন অনুযায়ী দেওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তাই ওষুধ খাওয়ালে মাত্রা সঠিক নাও হতে পারে। আর ঘটতে পারে বিপদ। সাধারণ বাজার-চলতি কাশির সিরাপগুলো শিশুদের শরীরে খিঁচুনি, ঝিমুনি, অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন, কিডনি ও লিভারের ক্ষতিসহ নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে। এমনকি শিশুদের জন্য বহুল ব্যবহৃত সালবিউটামল সিরাপ একটু বেশি মাত্রায় দিলেই অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন ও শরীরে কাঁপুনি হতে পারে। আবার অনেক কাশির সিরাপে হাইড্রোকার্বন থাকে। বুকব্যথা ও কাশি কমাতে এটা ব্যবহৃত হয়। হাইড্রোকার্বন এক ধরনের নারকোটিক (নেশাদ্রব্য), যা শিশুদের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকারক।